Logo

উত্তরায় ফের পোশাক শ্রমিক-পুলিশ পাল্টাপাল্টি ধাওয়া, যানচলাচল বন্ধ

RMG Times
সোমবার, জানুয়ারি ৭, ২০১৯
  • শেয়ার করুন

ডেস্ক রিপোর্ট: রাজধানীর উত্তরায় পোশাক শ্রমিক ও পুলিশের সঙ্গে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। আজ, সোমবার, সকালের এ ঘটনায় বেশ কয়েকজন পোশাক শ্রমিক আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। গত তিন ধরেই বকেয়া বেতনভাতা, ন্যূনতম মজুরি কাঠামো বৃদ্ধি ও বাস্তবায়নের দাবিতে পোশাক শ্রমিকরা আন্দোলন করছেন।

আজ সকাল সাড়ে ৯টা থেকে আবারও পোশাক শ্রমিকরা উত্তরায় সড়ক অবরোধ করেন। এসময় পুলিশের সঙ্গে তাদের পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এতে বেশ কয়েকজন পোশাক শ্রমিক আহত হয়েছেন।

এদিকে পোশাক শ্রমিকদের আন্দোলনের কারণে উত্তরার জসীমউদ্দীন, আজমপুর থেকে আব্দুল্লাহপুর পর্যন্ত সড়কে যানচলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে সড়কের দুই পাশেই ৩০ কিলোমিটার যানজটের সৃষ্টি হওয়ায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা। গত শনিবার বিকাল থেকে উত্তরাস্থ বিভিন্ন পোশাক কারখানার শ্রমিকরা সড়কে বিক্ষোভ করছেন।

খবর ও ছবি সূত্র: যুগান্তর

রোববার সকাল ৯টার পর থেকে শতশত পোশাক শ্রমিক উত্তরার জসীমউদ্দীন, আজমপুর থেকে আব্দুল্লাহপুর পর্যন্ত সড়ক অবরোধ করলে গার্মেন্ট মালিকপক্ষ আশ্বাস ও পুলিশের হস্তক্ষেপে তারা অবরোধ তুলে নেন।

আজ সকাল ৯টার পর একই দাবিতে শ্রমিকরা সড়ক অবরোধ করলে উত্তরা জোনের ডিসি নাবিদ কামাল শৈবালের নেতৃত্বে শতাধিক পুলিশ সদস্য জলকামান ও সাঁজোয়া যান নিয়ে ধাওয়া দিয়ে অবরোধ সরিয়ে দেয়।

তবে কিছুক্ষণ পর শ্রমিকরা আবার লাঠিসোটা নিয়ে একযোগে এসে মহাসড়ক অবরোধ করেন। বিক্ষোভকারী খলিল নামে এক শ্রমিক জানান, গত ৪-৫ দিন ধরে বেতন-বোনাস বৃদ্ধির দাবিতে আমরা আন্দোলন করছি।

অন্যায়ভাবে শ্রমিকদের চাকরিচ্যুত, বহিরাগত সন্ত্রাসী দিয়ে শ্রমিকদের মারধরের প্রতিবাদসহ বকেয়া বেতনভাতা পরিশোধ, ন্যূনতম মজুরি কাঠামো বৃদ্ধি ও বাস্তবায়নের দাবিতে শ্রমিকরা এ আন্দোলন করছেন বলে জানান তিনি।

মালিকপক্ষের আশ্বাসের পরও আজ কেন শ্রমিকদের এ অবরোধ প্রশ্নে হাসিনা নামে একজন শ্রমিক জানান, রোববার উত্তরা জোনের ডিসি, বিজিএমইএ ও মালিকপক্ষের প্রতিনিধিরা দাবি পূরণ করা হবে বলে আশ্বাস দিলেও এ বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ এখনো নিতে দেখেননি তারা।

তাই তারা আজ সোমবার সকাল থেকে সড়কে বিক্ষোভ করছেন বলে জানান তিনি।

উত্তরা জোনের ডিসি নাবিদ কামাল শৈবাল জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনে রাস্তায় নিরাপত্তা নিশ্চিত ও যানচলাচল স্বভাবিক করতে চেষ্টা চলছে।

এ সময় দাবি থাকলে সড়ক অবরোধ না করে জনজীবন অতিষ্ঠ না করে মালিক ও বিজিএমইএর সঙ্গে বসে এর সমাধান করতে শ্রমিকদের অনুরোধ করেন তিনি।