Logo

কোরবানি ঈদে ১ মিলিয়ন ফ্রিজ বিক্রির টার্গেট ওয়ালটনের

RMG Times
রবিবার, আগস্ট ৪, ২০১৯
  • শেয়ার করুন

নিজস্ব প্রতিবেদক: আসছে ঈদুল আযহা, কোরবানি ঈদ। এই সময়ে ফ্রিজের চাহিদা থাকে সবচেয়ে বেশি। সারা বছরের মোট ফ্রিজ বিক্রির অর্ধেকের বেশি হয় এ সময়। এরই প্রেক্ষিতে এবারের ঈদে এক মিলিয়ন বা ১০ লাখ ইউনিট ফ্রিজ বিক্রির নতুন রেকর্ড করার টার্গেট নিয়েছে বাংলাদেশি মাল্টিন্যাশনাল ব্র্যান্ড ওয়ালটন।

ওয়ালটনের নির্বাহী পরিচালক ও ফ্রিজ বিভাগের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা গোলাম মুর্শেদ জানান, গত কোরবানির ঈদের আগে সারা দেশে ওয়ালটনের ফ্রিজ বিক্রি হয়েছিল ৬ লাখের মতো। এবার টার্গেট- ১০ লাখ ফ্রিজ বিক্রি করা।

তিনি বলেন, এই লক্ষ্যমাত্রা পূরণের মাধ্যমে স্থানীয় ফ্রিজ বাজারে আরেকটি নতুন রেকর্ড সৃষ্টি করবে ওয়ালটন। সেজন্য রোজার ঈদের পরপরই নেয়া হয়েছে ব্যাপক প্রস্তুতি। কারখানায় ফ্রিজের উৎপাদন বাড়ানোর পাশাপাশি সেলস পয়েন্টগুলোতে পর্যাপ্ত মজুদ গড়ে তোলা হয়েছে। বাজারে ছাড়া হয়েছে প্রায় অর্ধ-শত নতুন মডেল। নেয়া হয়েছে কৌশলগত বিপণন ব্যবস্থা। পাশাপাশি, ক্রেতাদের দেয়া হচ্ছে বাড়তি সুবিধা।

জানা গেছে, বিক্রয়োত্তর সেবা অনলাইনের আওতায় আনতে ডিজিটাল ডাটাবেজ তৈরি করছে ওয়ালটন। এ কার্যক্রমে ক্রেতাদের অংশগ্রহণ উৎসাহিত করতে চালানো হচ্ছে ডিজিটাল ক্যাম্পেইন। কোরবানির ঈদ উপলক্ষ্যে এর আওতায় ফ্রিজ ক্রেতাদের ‘কে হবেন আজকের মিলিয়নিয়ার’ শীর্ষক বিশেষ সুবিধা দিচ্ছে ওয়ালটন। প্রতিদিনই দেশের যে কোনো ওয়ালটন প্লাজা, পরিবেশক শোরুম কিংবা ই-প্লাজা থেকে ফ্রিজ কিনে রেজিস্ট্রেশন করলে এক মিলিয়ন বা ১০ লাখ টাকা পেতে পারেন ক্রেতারা। রয়েছে ফ্রিজ, টিভিসহ হাজার হাজার পণ্য ফ্রি পাওয়ার সুযোগ। এসব সুবিধা না মিললেও নিশ্চিত ক্যাশ ভাউচার পাবেন ক্রেতারা।

কর্তৃপক্ষ জানায়, গত মাসে ওয়ালটন ফ্রিজ কিনে ১০ লাখ টাকা পেয়েছেন অনেকেই। এদের মধ্যে কয়েকজন হচ্ছেন: চাঁদপুরে ওয়ালটনের এক্সক্লুসিভ শোরুম ‘সনি ইলেকট্রনিক্স’ থেকে জাকির হোসেন, ফেণীর একাডেমী রোড ওয়ালটন প্লাজা থেকে মো. ইয়াছিন ও লায়লা বেগম, পিরোজপুরের স্বরূপকাঠিতে মেসার্স হক এন্টারপ্রাইজ থেকে আব্দুর রহিম, কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্টে নীলাচল ইলেকট্রনিক্স থেকে নাজমুল হোসাইন ও খুলনা শিববাড়ীতে আশা এন্টারপ্রাইজ থেকে পেয়েছেন ক্রেতা মো. মিরাজ হাওলাদার। এছাড়া দেশজুড়ে অসংখ্য ক্রেতা এক লাখ টাকা করে পেয়েছেন।

ওয়ালটনের নির্বাহী পরিচালক উদয় হাকিম বলেন, স্থানীয় ফ্রিজ বাজারে গ্রাহকপ্রিয়তার শীর্ষে রয়েছে ওয়ালটন। ফ্রিজের মোট চাহিদার প্রায় ৭৫ ভাগই পূরণ করছে ওয়ালটন। প্রতিবছরই ফ্রিজ বিক্রিতে উল্লেখযোগ্য প্রবৃদ্ধি অর্জিত হচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় এ বছর ওয়ালটনের টার্গেট- ২০ লাখ ইউনিট ফ্রিজ বিক্রি করা। আন্তর্জাতিক বাজারেও নিজেদের শক্ত অবস্থান তৈরিতে কাজ করছে ওয়ালটন।

বিপণন কর্মকর্তারা জানান, কোরবানি ঈদকে সামনে রেখে বাজারে রয়েছে ওয়ালটনের ১৩৫ মডেলের ফ্রিজ। এসবের মধ্যে রয়েছে ১০৩ মডেলের ফ্রস্ট ফ্রিজ, ২০ মডেলের নন-ফ্রস্ট ফ্রিজ ও ১২ মডেলের ডিপ ফ্রিজ। এদিকে ঈদে ক্রেতাদের হাতে সর্বাধুনিক প্রযুক্তির ফ্রিজ তুলে দিতে ওয়ালটন বাজারে এনেছে প্রায় অর্ধ-শত নতুন মডেল। ফ্রস্ট ফ্রিজে নতুন এসেছে ৩৭ টি মডেল ও নন-ফ্রস্টের ৫টি মডেল।

ওয়ালটন ফ্রস্ট ও নন-ফ্রস্ট ফ্রিজের মধ্যে গ্রাহকদের কাছে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে ব্যাপক বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী ইনভার্টার প্রযুুক্তির সাইড বাই সাইড ডোরসহ গ্লাস ডোর, বিএসটিআই’র ‘ফাইভ স্টার’ এনার্জি রেটিং প্রাপ্ত রেফ্রিজারেটর গ্রাহক পর্যায়ে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। ওয়ালটনের এসব ফ্রিজ স্ট্যাবিলাইজার ছাড়াই নিশ্চিন্তে চালানো যাবে।

সূত্রমতে, দেশের গন্ডী পেরিয়ে ‘মেইড ইন বাংলাদেশ’ খ্যাত ওয়ালটন পণ্য এশিয়া, মধ্যপ্রাচ্য ও আফ্রিকা অঞ্চলের বিভিন্ন দেশে রপ্তানি হচ্ছে। এবার ইউরোপ, আমেরিকা ও অস্ট্রেলিয়ার মতো উন্নত বিশ্বের বাজারে রপ্তানির বৃহৎ পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। বিশ্বের শীর্ষ ব্র্যান্ড হতে ব্যাপক কার্যক্রম হাতে নিয়েছে ওয়ালটন।

ওয়ালটনের প্রতিটি ফ্রিজ আন্তর্জাতিক মান যাচাইকারি সংস্থা নাসদাত ইউনিভার্সাল টেস্টিং ল্যাব থেকে মান সনদ পাওয়ার পরই বাজারে ছাড়া হচ্ছে। তাই সর্বোচ্চমানের আত্মবিশ্বাসে ফ্রিজে ১ বছরের রিপ্লেসমেন্ট গ্যারান্টির পাশাপাশি কম্প্রেসারে ১২ বছরের গ্যারান্টি সুবিধা দিচ্ছে ওয়ালটন। এছাড়া আইএসও সনদ প্রাপ্ত সার্ভিস ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের আওতায় সারা দেশে ৭০টিরও বেশি সার্ভিস সেন্টার থেকে মিলবে ৫ বছরের বিক্রয়োত্তর সুবিধা। মিলবে হোম সার্ভিসও। গ্রাহকরা যেকোন মোবাইল থেকে ১৬২৬৭ নম্বরে কল দিয়ে বছরের ৩৬৫ দিনই পাচ্ছেন কাঙ্খিত সেবা। তথ্য প্রাপ্তির পর গ্রাহকের বাড়িতে দ্রুত পৌঁছে যাচ্ছে সার্ভিস এক্সপার্টস। ওয়ালটনের এই সেবা এরইমধ্যে গ্রাহকমহলে ব্যাপক প্রসংশিত হয়েছে।